বিমডাস: একটি সংঘঠনের আত্নকথা


আমি বিমডাস । সহমর্মিতা আর সৌহার্দের মিলনে পারস্পরিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করার প্রত্যয়ে ২০০৬ এ আমার জন্ম, তবে জন্ম নিবন্ধনের সনদ বলে ভিন্ন কথা। সনদ অনুযায়ী আমি জন্মাই ২০১০ সালে। আর এতে বিতর্কের সুত্রপাত এবং জন্মালোচনা বন্ধের কোন উপায় নেই, নেই জন্মদাতা’র কৃত্বত্বের দাবিদারদের সংখ্যারও। অনেকে আমার জন্ম ২০০৬ ও অনেক আগে বলে দাবি রাখে। আবার অনেকে স্মৃতি হাতরে পিছনে ফিরে যায়, সংযোগ খুজে পায় আমার সাথে শিক্ষাঙ্গনের ছাত্রসংঘঠনের। সে যাই হোক , যে ঊদ্দশ্যে জন্মলভিত হয়েছিল তা পুর্ন হনেই  জন্মসার্থক।


আমার সদস্য
যেহেতু আমার সুত্রপাত বিদ্যাপীঠকে ঘীরে এবং একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের মাধ্যমে সেহতু তারাই আমার সদস্য হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে বিদ্যাপীঠে অন্তুর্ভুক্তিকালে অন্তর্ভুক্তির নিয়মানুসারে যে বিভাজন ছিল তার ছাপ এতকাল পরেও কারও কারও মাঝে লক্ষ্য করা যায়, হয়তো এরা বেশি স্মৃতিকাতর বলে।  নিয়মতান্ত্রিকতার ভেতরে থেকেই এর বাইরেও কিছু কিছু গোত্রকে সদস্য হবার অনুমতি আছে।


আমাকে যারা পরিচালিত করে
“ সদা জাগ্রত একটি নেতা প্রতিটি সদস্যের অন্তরে।“ – এটা আমার প্রতিটি সদস্যের বেলাই খাটে তা তারা স্বীকার করুক আর নাই বা করুক। সেই জাগ্রত ইচ্ছা কারো কারো মাথা চাড়া দিয়ে প্রকাশিত হয় , কারোও বা মনের গহীন কোনেই দুমরে মুচড়ে মরে। এ মরাইতেই তার শেষ নেই কারন আমার সদস্যরা খুবই আশাবাদি। তবে কারোও কারোও ক্ষেত্রে জাগ্রত ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশে তাদের সহধর্নিমীদের প্রভাব বা চাপ যে নাই তা অস্বীকার করা বাতুলতা। তাদের অতি উতসাহী মনোভাব দেখে মাঝে মাঝে ভাবি, আমার পরিচালনা পর্ষদ কয়েকটি শাখা বা অংগসংঘঠন খুল্লেই পারে। যেমন  বিমডাস মহিলা শাখা ।


পরিচালনা পর্ষদ মনোনয়ন
আমার কাছে পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন করাই কখনো কখনো সদস্যদের মূল কাজ বলে প্রতিয়মান হয়, অন্তত্য তাদের গতিবিধি তাই বলে। একটা পর্ষদ নির্বাচিত হয়ে কাজ শুরু করতে না করতেই পরের পর্ষদ নির্বাচনে কে কোথায় থাকবে বা কাকে কোথায় রাখা যাবে তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় দৌড়ঝাঁপ। সদস্য বাছাইটাও খুবই মজাদার এবং চমকপ্রদ- যেমন
 ১) নেতা অবশ্যই প্রবীনদের থেকেই হতে হবে -  বয়সী নেতা
২) আগের ওরা কিছুই করে নাই, সংঘঠনকে ধ্বংস করে ফেলতেছে -  নব্য পাতি নেতা
৩) ও কাজ বুঝে , ওকে দিয়ে হবে – অনুগত নেতা
৪) এ পরিচালনা পর্ষদে আসলে কাজ না পারুক, মোটা অঙ্কের অনুদান দেবে – টাকা নেতা
৫) আমার আর আপনার রক্ত ও মুল ভিত্তি একই, বিদ্যাপীঠে আমারা একই পদ্ধতিতে অন্তুর্ভুক্ত হয়েছিলাম – সুযোগ সন্ধানী নেতা
৬) আমরাই এটা জন্ম দিছি – জন্মসূত্রীয় নেতা
৭) তোমাকে / আপনাকে কিন্তু পরিচালনা পর্ষদে আসতেই হবে – টানাটানির নেতা
৮) পেটে খেলে পিঠে সয় – বিরানী নেতা
৯) আমি নেতা হতে চাই না,  একতাবদ্ধ থাকতে ওকে ভোট দিবা – নেপথ্যের পাতি নেতা
১০) যেকোন পদ-ই হোক পরিচালনা পর্ষদে থাকতেই হবে -   খুটি নেতা

যাদেরকে সদস্যরা পরিচালনা পর্ষদে দেখতে চায় নাঃ
১) বেশি জানে, বেশি জানাতে চায় – মাথায় বসবে
২) ডিগ্রিধারী – সংঘঠনের সাথে মানানসই না
৩) সমগোত্রীয় না - বিদ্যাপীঠে অন্তুর্ভুক্তর পদ্ধতিগত কারনে রক্ত ও মুল ভিত্তি ভিন্ন
৪) আকর্ষনকারী – এরা আসলে আমাদের পথ বন্ধ হবে।
৫) গনসংযোগহীন – পেটে কিছু চাপায় না

তবে নির্বাচনের কারনে সদস্য বা ভবিতব্য সদস্যদের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপক ভাবে। সদস্য হবে বা নতুন হয়েছে তার খোজ নিতে বর্তমানের বা ভবিষতের নেতাদের অতিউতসাহ দেখে নবীন সদস্য ভাবতে বাধ্য হবে যে বাংলাদেশের নেতৃত্বে এদেরই দরকার ছিল। তবে নির্বাচন পুর্ববর্তী প্রেক্ষাপটে এ চিত্র ছিল সম্পুর্ন ব্যাতিক্রম।


সংঘঠনের কাজ

মাঝে মাঝে ভাবি আমাকে কেন তৈরি করা হয়েছে । ভাবি আর খাবি খাই। কারোও কা্রোও মতে “ এখানে আবার কাজ কি? এই তো সদস্যরা মিলিত হচ্ছে , হাসি আনন্দ করছে”। কারোও মতে “কাজের শেষ আছে, আমারা তো এখনো শুরুই করতে পারি নি” । সংঘঠন হিসেবে আমি তখন দো’টনায় পরে যাই।

(মিল খুজতেছে ?? নিজ দায়িত্বে খুজুন তবে দায় টা আপনারই)

… চলছে, চলবে।


No comments

Theme images by merrymoonmary. Powered by Blogger.