রামপাল প্রজেক্ট : বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে ?

রামপাল প্রজেক্ট এখনকার সবচেয়ে আলোচিত বিষয় .  আমি রামপাল প্রজেক্টের বিরুদ্ধে বা পক্ষেও না. ধরেই নিলাম প্রযুক্তির মাধ্যমে দূষণের মাত্রাটা সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে. কিন্তু সেটা নিশ্চিত করবে কে? আইন ও তার প্রয়োগ শহরেই সবচেয়ে বেশি কিন্তু তা সত্ত্বেও  যেখানে ঘরের কাছের বুড়িগঙ্গাকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে পারা গেলো  না , শীতলক্ষ্যা কবরে যাবার পথে সেখানে রামপালের দূষণ প্রযুক্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলাটা কতটুকু সমীচীন তাহা ভাবার বিষয়ই বটে .

অনেকে সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন প্রজেক্টের সাথে রামপালের তুলনা খুঁজে , তদনুরূপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কথা উদাহরণ হিসেবে টানে.  সিঙ্গাপুরে প্রযুক্তি দিয়ে অনেক কিছুই আর তাতে রয়েছে সরকারের সদিচ্ছা, জনগণের সচেতনতা আর আইনের সঠিক প্রয়োগ সেজন্য সিঙ্গাপুরের সাথে বাংলাদেশের তুলনা চলে না . বেশিদূরে নয় সিঙ্গাপুর চালকবিহীন টেক্সিও চালু করতে যাচ্ছে . সিঙ্গাপুরে যত্রতত্র একটুকরা ময়লা ফেলে 1500 টাকার অধিক জরিমানা গুনার লোকের সংখ্যা নেহায়েতই কম না , অনেক বাংলাদেশীও এ তালিয়ায় আছে. কিন্তু মাতৃভূমিতে ফিরে সেই আমরাই বদলে যাই ... আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও এ বদলানোর পেছনে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে ..


 জাহাজ ভাঙা শিল্পই তার অন্যতম উদাহরণ , এখনো পর্যন্ত যা  সঠিক আইনের বা একটা কাঠামোর ভেতরে আনা গেলো না বা ইচ্ছে করেই আনা হলো না , প্রতিদিনই যা দূষণ করে চলছে বঙ্গোপসাগর , দূষণ ছড়িয়ে যাচ্ছে বনের আশেপাশে ....

নারায়নগঞ্জ বা মুন্সীগঞ্জের ইট ভাটার আসেপাশের মানুষ বলতে পারবে তাদের বা গাছপালার উপর ইট ভাটার প্রভাবের কথা ..  অথচ আইন আছে , প্রয়োগকারী সংস্থাও আছে. কিন্তু ইট ভাঁটা চলছে বছরের পর বছর ধরে ...

আমার কাছে তাই ইমপেক্ট এসেসমেন্ট , প্রযুক্তি প্রয়োগে দূষণীয় মাত্রা সহনশীল রাখা এবং আইনের আওতায় আনা ব্যাপারগুলো  বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে  হাস্যকর মনে হয় যতক্ষণ না ব্যাপার গুলোর সঠিক প্রয়োগ দেখছি.

No comments

Theme images by merrymoonmary. Powered by Blogger.