সৌহাদ্যের প্রতিচ্ছবি সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশী কমিউনিটি “ডিএমইএবিএস” এর নির্বাচন।


বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ২৮শে মার্চ অনুষ্ঠিত হল সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশী কমিউনিটি “ডিএমইএবিএস” এর নির্বাচন।  চাইনিজ গার্ডেনের অদূরে জুরং টাউন কাউন্সিলের স্যোশাল ফাংশন হল-এ সিঙ্গাপুর সময় বিকেল ৫টা থেকে ভোট গ্রহনের কথা থাকলেও ভোটাররা নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই জমায়েত হতে থাকে ভোট কেন্দ্রে। পুরনো সহপাঠী, বন্ধু এবং অন্য ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময়, আড্ডায় মুখরিত হতে থাকে ভোট কেন্দ্র এবং তার আশপাশ। দিকে দিকে যেন এক ভিন্ন আমেজ পরিলক্ষিত হয়। 

















নির্বাচনে প্রার্থীদের কয়েকজন


নির্বাচনে প্রার্থীরাও সামিল হয় সে আড্ডায় , নির্বাচনের প্রতিযোগিতা ভুলে যেন সবাই একাত্ন। সময় গড়ানোর সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতিও বাড়তে থাকল। অনেককেই দেখা গেছে ভোটকেন্দ্রের পাশের রেস্টুরেন্টে চায়ের আড্ডায় নিমজ্জিত।  নির্বাচন কমিশন রাতের খাবার আয়জনের পাশাপাশি স্বউদ্যোগে আনা পান যেন বাংলার নির্বাচনের ষোলকলা পূর্ন হল।















ভোট গ্রহল চলল রাত ৯ টা পর্যন্ত, এর পর ভিন্ন এক পরিস্থিতি। প্রার্থী এবং সমর্থকদেরই না উপস্থিত সকলের মাঝেই যেন এক রকম উদ্বিগ্নতা ।




















সভাপতি পদপ্রার্থী দুজন এক ফ্রেমে





















নির্বাচন কমিশন এর সদস্যবৃন্দ


ভোট গননা কার্যক্রম পরিচালিত হল প্রাত্থীদের সম্মুখেই। এক সময় সাংগ হল গননা। ফলাফল ঘোষনার আগে সভাপতি পদপ্রার্থীদের সময় দেওয়া হয় তাদের অনুভুতি ব্যক্ত করার জন্য। এর পর এল সেই সান্ধ্যক্ষন। একে একে ঘোষনা করা হল প্রার্থীদের নাম ও ভোট সংখ্যা। জাকির হোসেন সভাপতি এবং সাইফুল ইসলাম সাধারন সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। পরাজিত প্রার্থীরা বিজয়ী প্রার্থীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাদের পাশে থেকে “ডিএমইএবিএস” এর উদ্দেশ্য সাধনে একাত্ন হবার ঘোষনা দেন।















 নির্বাচন শুধুমাত্র একটি প্রক্রিয়াই হয়ে থাকল যা পরবর্তী দুই বছরের জন্য “ডিএমইএবিএস” তাদের কার্যনির্বাহী পর্ষদ এর রুপরেখা দিল।  প্রার্থীদের ভেদাভেদহীনতা ও ভোটারদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহন “ডিএমইএবিএস” এর অন্যতম লক্ষ্য “সদস্য সম্প্রীতি” কে যেন আরোও পরিবর্ধনেরই ইংগিত দিয়ে গেল।   আধুনিক নির্বাচনের এক প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকল “ডিএমইএবিএস”  এর এ নির্বাচন। 

No comments

Theme images by merrymoonmary. Powered by Blogger.